Friday, November 27, 2015

ইসলামী ব্যাংকের উপর আঘাত করা মানে মধ্য প্রাচ্যের ৪০ লক্ষ(+) বাংলাদেশী প্রবাসীর পরিবারের উপর আঘাত করা

মধ্যপ্রাচ্যের ৫৬ টি আরবদেশ মিলে আইডিবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত। আইডিবি ব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট’র জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই আইডিবি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭০% শেয়ারের মালিক।

যে কোন পক্ষ কর্তৃক ইসলামী ব্যাংকে যে কোন রকমের অাঘাতের ফলে ইসলামী ব্যাংক যদি লোকসানের শিকার হয় তাহলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে ৭০% শেয়ারের মালিক আইডিবি।

বাংলাদেশ সরকার যদি ইসলামী ব্যাংকের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে আইডিবি নাখোশ হয়ে যদি ৪০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে টান দেয় তাহলে আওয়ামীলীগ সরকারের পায়ের নীচে মাটি থাকবে না। ঠিক এজন্যই মাঝে সাজে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে ইসলামী ব্যাংককে সমিহ করে কথা বলতে শুনা যায়।

উল্লেখ্য যে ইসলামী ব্যাংকে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ার হচ্ছে ৫%, প্রতিষ্ঠানিক শেয়ার ১৫% ও জনগনের শেয়ার ১০%।

ইসলামী ব্যাংক মূলধনের ৪৫% শিল্পে বিনিয়োগ করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকা অসিম ।

ইসলামী ব্যাংক কোন রাজনৈতিক দলের আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় এবং এই ব্যাংকের সকল গ্রাহক জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বা সমর্থকও নয়। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গণমানুষের ব্যাংক। এই ব্যাংকে শুধু মুসলমানেরা লেনদেন করে ভাবলে ভুল হবে। ইসলামী ব্যাংকে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বাংলাদেশের সকল ধর্ম ও জাতের লোকেরা আর্থিক লেনদেন করে। মুসলমানদের মধ্যে যারা রাজনীতি করে সেখান থেকে আওয়ামীলীগ থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের সকলে না করলেও অনেকেই ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন করেন। শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সকল ইসলামী ব্যাংকের শাখাতেই অমুসলিমদের একাউন্ট আছে। এতেই প্রমানিত হয় যে ইসলামী ব্যাংক কোন গোষ্ঠীর একক সম্পত্তি নয়।

ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ বৈশিষ্টসমূহ;

১/ এই ব্যাংকে আর্থিক লেনদেনে কোন দূর্নীতির অভিযোগ নেই।

২/ ঋন গ্রহিতার পক্ষ থেকে কোন ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ নেই।

৩/ ইসলামী ব্যাংক ইনভেষ্টর গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন রকম অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে না।

৪/ এক বছরের জন্য ঋন নিয়ে এক মাস পর তা পরিশোধ করে দিলে ইসলামী ব্যাংক ঐ এক মাসের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে লভ্যাংশ গ্রহণ করে যা সাধারণত অন্যান্য ব্যাংক করেনা।

৫/ ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ও নিজেদের উদ্যোগে দেশের অসহায় দুস্থ দরিদ্র লোকদের জন্য বিভিন্ন সময় আর্থিক অনুদান নিয়ে এগিয়ে আসে। তাছাড়া দূর্যোগ কালিন বা দূর্যোগ পরবর্তী কালীন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়। এমনকি সরকারী ফান্ড বা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ফান্ডেও কোটি কোটি টাকা অনুদান দিতে দেখা যায়। শিক্ষাখাতে ইসলামী ব্যাংকের অনন্য অবদান প্রশংসার দাবিদার। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬১০১২০০০/-(ছয় কোটি দশ লক্ষ বার হাজার) টাকা বৃত্তি প্রদান করে।

ইসলামী ব্যাংক র‌্যাংকিং এর অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। ২ বছর আগে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০০ ব্যাংকের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। বর্তমানে আরো ৪৬টি ব্যাংককে টপকিয়ে ৯৫৪ তম অবস্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশের জন্য এমন বিরল সম্মান একমাত্র ইসলামী ব্যাংকই এনে দিতে সক্ষম হয়েছে।

একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ সৎ, কর্মঠ ও ত্যাগী কর্মচারির প্রচেষ্টা ও গ্রাহকদের ভালবাসা ইসলামী ব্যাংককে সাফল্যের দুয়ারে পৌছে দিয়েছে।

গ্রাহকসেবা ব্যবস্থাপনা উন্নতমানের হওয়ার কারণে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ পরিমান রেমিটেন্স এসে থাকে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গরিব দুখি মেহনতি মানুষের কল্যাণকামী ব্যাংক। সুতরাং এই ব্যাংকের প্রতি কোন শকুনের কূদৃষ্টি যাতে না পড়ে সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত। 

Friday, August 14, 2015

সবার মাঝে প্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠার ৬টি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি

সবাই আপনাকে পছন্দ করুক এটা নিশ্চই আপনি চান। এ জন্য বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে না। এখানে বিশেষজ্ঞরা ৬টি উপায় আপনাকে বলে দিচ্ছেন যার মাধ্যমে আপনি সহজেই সবার মাঝে পছন্দের ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবেন।এগুলো রীতিমতো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।

১. মানুষকে নিজের সম্পর্কে বলতে উৎসাহ দিন
মানুষ ভালো খাবার খেতে এবং অর্থপ্রাপ্তিতে যেমন মজা পায়, তেমনি মজা পায় নিজের সম্পর্কে বলতে। বন্ধুদের আড্ডায় হোক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মানুষ নিজের সম্পর্কে বলতে পছন্দ করেন।
হার্ভার্ডের ডায়ানা তামির তার সহকর্মী জেসন মিচেলকে নিয়ে এক গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে তারা দেখিয়েছেন, নিজের সম্পর্কে তথ্য উজাড় করে দিতে মানুষ দারুণ পছন্দ করে।


২. ভুল বোঝানোর জন্য প্রশ্ন করুন
মানুষের চিন্তাধারার ভুল ধরিয়ে দিতে আপনি যদি প্রশ্নের মাধ্যমে এগিয়ে যান, তবে তারা জবাব দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতেই নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন এবং তা সমাধানে উদ্যোগী হবেন। এই পদ্ধতিতে মানুষ তাদের ভুল নিয়ে হুমকির সম্মুখীন হয় না এবং সমাধানের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হয়। এই পদ্ধতিতে মানুষকে তার ভুল সরাসরি ধরিয়ে দেওয়া হয় না। বরং তারা নিজের চিন্তার ভুল অংশটি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়। নিজেরাই নিজের ভুল ধরতে পারলে আপনার সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক ধারণা জন্মাবে না।


৩. উপদেশ চান
মানুষকে আপনার প্রতি উষ্ণ মনোভাবসম্পন্ন করতে এবং নিজেকে তাদের মাঝে গ্রহণযোগ্য করার অন্যতম শক্তিশালী পন্থা তাদের উপদেশ চাওয়া। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত বলে মত দিয়েছেন স্ট্যানফোর্ডের প্রফেসর জেফরি পিফার, রবার্ট সালদিনি এবং অনেকে।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেদের কর্তৃত্বের সংকটে অন্যের কাছ থেকে উপদেশ চাওয়া হলে তার কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং আপনার প্রভাব দ্রুত বেড়ে যায়। ক্যাটি লিলজেনকুয়েস্ট এ গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন, উপদেশ চাওয়ার অর্থ হলো অন্যকে সহযোগিতামূলক আচরণ, তথ্যের আদান-প্রদান এবং কার্যকরভাবে একমতে পৌঁছতে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে।


৪. দুটি প্রশ্ন পদ্ধতি
মানুষকে তাদের জীবনের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে প্রশ্ন করুন। জবাব পাওয়ার পর আপনি তাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে মনোভাব জানতে চাইতে পারেন। খুব সহজ এবং অকার্যকর বলে মনে হলেও এই পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন নোবেলজয়ী মনোবিজ্ঞানী ডেনিয়েল ক্যানিম্যান। প্রথম প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব পেলে আপনার পরের প্রশ্নেও তারা জীবটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন।


৫. শেষ তিনটি শব্দের পুনরাবৃত্তি করুন
আপনি যে কতোটা আদর্শ শ্রোতা তার বোঝানোর সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি এটি। আচরণগত সামাজিক দক্ষতা নিয়ে গবেষণা করছেন লিল লোন্ডেস। তার মতে, মানুষ সব সময় ভালো শ্রোতাকে পছন্দ করেন। বক্তা যা বলছেন, তার বাক্যের শেষ দুটি বা তিনটি শব্দ যদি আপনি বলেন তবে বক্তা মনোযোগী শ্রোতা হিসেবে আপনার প্রতি ইতিবাচক হয়ে উঠবেন।
  

. সকলের কথা মন দিয়ে শুনুন

আপনি কারো কথা কতটুকু মন দিয়ে শুনেন তার উপর নির্ভর করে আপনার বাক্তিত্ত । তাই সকলকে ভালভাবে শুনুন।  

অদ্ভুত স্বচ্ছ মাথার মাছ, দেখা যায় মাথার মগজ(ভিডিও সহ)



নাম বেরেলআই মাছ (barreleye)। এই মাছটি বিখ্যাত তার স্বচ্ছ মাথার জন্য। শরীর কালো আর মাথা এতটাই স্বচ্ছ যে স্পষ্ট দেখা যায় মাথার ভেতরকার মগজ ।তবে সচরাচর দেখা মিলে না এই মাছের। কারন সমু্দ্র তলে ২০০০ ফুট পানির নীচে এদের বসবাস। প্রশান্ত এবং ভারত মহাসাগরে ব্যাপক পরিমানে এই সংবেদনশীল চোখ এবং স্বচ্ছ মাথার মাছ দেখা যায়। চোখের ঠিক উপরে এদের উজ্জ্বল সবুজ লেন্স থাকে, যা দ্বারা এরা সমুদ্রে তলদেশে পৌঁছানো ক্ষীন সূর্যের আলো ব্যবহার করে শিকার ধরে থাকে।